রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৪র্থ সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ॥ ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১৯ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ অনেক দেশেই

গৃহস্থালির গ্যাস পাইপলাইনে

বাংলাদেশে বাড়ছে সিলিন্ডার, ঘটছে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানি
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
দেশে ২০১০ সাল থেকে বাসাবাড়িতে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের জন্য পাইনলাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রেখেছে সরকার। উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাতে তখন নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছরে নতুন নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি হলেও তারা গ্যাস সংযোগ পায়নি। সরকার উৎপাদন বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে নতুন গ্যাসকূপ অনুসন্ধান ও খননে সিরিয়াস হলে এতদিনে সংকট থাকতো না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা। যখন দেশের বাসাবাড়িতে প্রায় দেড় দশক ধরে পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে, তখন উন্নত অনেক দেশেই গৃহস্থালিতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেরই গৃহস্থালিতে শতভাগ পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশেও বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার করছেন নাগরিকরা। উন্নত অনেক দেশের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোয়ও এ ব্যবহারের আওতায় আনার কাজ করছে সেসব দেশের সরকার।
বহু বছর ধরেই গৃহস্থালিতে রান্নার কাজে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারে অভ্যস্ত শহরবাসী। বিশেষ করে ঢাকার প্রতিটি বাসায়ই ছিল পাইপলাইনের গ্যাস। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করার দিকে মনোযোগ দেয়। ক্ষমতায় আসার দ্বিতীয় বছর ২০১০ সালে উৎপাদন কম এমন অজুহাতে বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। তখন গ্রাহককে বোঝানো ....বিস্তারিত

প্রদীপের নিচে দারিদ্র্যের অন্ধকার

ক্ষুধার যাতনায় লাখো মানুষ

॥ সাইদুর রহমান রুমী ॥
হাইব্রিড উন্নয়ন, লাফিয়ে লাফিয়ে কোটিপতির সংখ্যা আর প্রবৃদ্ধি বাড়লেও দেশে এক বেলা ভাত খেয়ে আরেক বেলা ভাত জুটবে কিনা, জানে না ৩৪ লাখ মানুষ। খাদ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে যদি এ কঠিন অবস্থা হয়, তাহলে চিকিৎসা কিংবা শিক্ষার মতো ব্যয়বহুল বিষয়গুলোর যে ভয়াবহ করুণ অবস্থা, তা কল্পনাতীত বহু মানুষের জন্য। নিয়মিত রোজগার দিয়ে এসব চাহিদা মেটাতে পারছেন না অনেক মানুষ। খাদ্য ঘাটতি পূরণে বর্তমানে ঋণ করতে হচ্ছে দেশের ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারকে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। খোদ সরকারি জরিপে এ তথ্য উঠে আসায় পরিস্থিতির ভয়াবহতা সহজেই অনুমেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এত এত চোখধাঁধানো উন্নয়ন দিয়ে কী হবে, যদি সাধারণ মানুষ দু’বেলা পেটপুরে খেতে না পারে। আর যাও খেতে পারছে, সেগুলোর কতটুকু পুষ্টিকর। তারা বলছেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে জর্জরিত জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করে কোনো দেশ অর্থনীতির ভিত গড়তে পারে না। দ্রব্যমূল্য দিন দিন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দিনে দিনে সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের চাপ এবং দারিদ্র্যের বোঝা সইতে না পেরে নবজাতক দত্তক কিংবা বিক্রি করে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আর গ্রাম-গঞ্জে এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ ....বিস্তারিত

ফিটনেসবিহীন যানবাহন আর অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতি

ঈদে সড়কে ঝরল ৭৫ তাজা প্রাণ

ফরিদপুরে একই পরিবারের ৫ জনসহ ১৪ জনের প্রাণহানি

স্টাফ রিপোর্টার : ঘর থেকে বের হওয়ার পর সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছার যেন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফিটনেসবিহীন গাড়ি আর সনদবিহীন অদক্ষ চালাকের বেপরোয়া চালানোয় সড়ক আজ এক আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে মহাসড়ক এবং জেলা শহরের সড়কগুলোয় চলাচলকারী বাস, মিনিবাস ও ট্যাক্সি ফিটনেসের প্রয়োজন হয় না। গাড়ির ফিটনেস নেই, তবুও চলছে। এসব জানেন সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কর্তারা, কিন্তু তারা এসব বন্ধ করেন না। কারণ ওইসব গাড়ি চলে সংশ্লিষ্টদের মেনেজ করেই। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আগে তারা থাকেন নিশ্চুপ। এবারের ঈদযাত্রা এবং উৎসব শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথের দুর্ঘটনায় প্রাণহানি আঁতকে ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে ফরিদপুরে গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মুহূর্তে ১৪ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।  ফরিদপুরের ১৪ জন ছাড়াও এদিন দেশের অন্য জেলায় আরও ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ঈদযাত্রায় গত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও অন্তত ৫৭ জন সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে ঈদে গ্রামে যাওয়া ও কর্মস্থলে ফেরার পথে এবার অন্তত ৭৫ জনের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে।
ফরিদপুর : গত ১৬ এপ্রিল ১৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইউনিক পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৭৫৯) যাত্রীবাহী বাসটি। রুট পারমিটবিহীন ওই বাসটির ছিল না ফিটনেস সনদও। তবুও সড়কে এর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ফরিদপুরের কানাইপুরে ১৪ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়ার ....বিস্তারিত

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি

দীর্ঘদিন চিকিৎসা না হলে ক্যান্সারে রূপ নেয়
॥ হামিম উল কবির ॥
পুরুষের রোগ প্রোস্টেট গ্রন্থির (গ্ল্যান্ড) এনলার্জমেন্ট এবং দীর্ঘদিন চিকিৎসা না নিলে একসময় তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে। জনসংখ্যার কত শতাংশ রোগটিতে ভুগছেন, এর কোনো সমীক্ষা নেই। তবে বয়স্কদের বিশালসংখ্যক এ সমস্যায় আক্রান্ত। রোগটি কেন হয়, চিকিৎসকদের কাছে এর সুনির্দিষ্ট উত্তর না থাকলেও তারা বলছেন, বয়সজনিত কারণে প্রোস্টেট গ্রন্থির আকার বড় হয়ে সমস্যাটা হয়। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা থেকে বের হয়ে এসেছে, ‘অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত। গবেষণা বলেছে, ধূমপায়ীদের প্রোস্টেট ক্যান্সার অধূমপায়ীদের তুলনায় বেশি। উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর ঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রাথমিক স্তরে শনাক্ত করা গেলে নিরাময় সম্ভব। উন্নত দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে পঞ্চাশোর্ধ পুরুষের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সমস্যাটির সময়মতো চিকিৎসা না হলে শেষ পর্যন্ত তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। বাংলাদেশে প্রোস্টেট সমস্যার অনেক রোগী থাকলেও চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অপ্রতুলতা রয়েছে। বাংলাদেশের ইউরোলজিকেল সোসাইটির তথ্যানুসারে, দেশে ৪৩০ জন ইউরোলজিস্ট রয়েছেন। দেশে বিশেষজ্ঞ তৈরির সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগে মাত্র ৬ জন পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক, ৩ জন সহযোগী অধ্যাপক এবং ৩ জন সহকারী অধ্যাপক ....বিস্তারিত

বিশ্বজুড়ে হালাল বিনিয়োগ বাড়ছে

ফরাস গনি, আল-জাজিরা : বিশ্বে হালাল অর্থনীতির বাজারমূল্য আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ৭ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে। ২০১৫ সালে এ হালাল অর্থনীতির বাজারমূল্য ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ আট বছরেই এর আকার দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২১ সালে হালাল অর্থনীতির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার। এ খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, চার বছরের মধ্যেই এ বাজার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত বছর প্রকাশিত জেনারেল কাউন্সিল ফর ইসলামিক ব্যাংকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা বলছে, বিগত এক দশকে বৈশ্বিক ইসলামিক তহবিলের বাজার ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি ডলার এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে, হালাল বা ‘শরিয়াহসম্মত’ বিনিয়োগ ও সুযোগ উভয়েরই চাহিদা বেড়েছে।
ইসলামে বিনিয়োগের অনুমোদন রয়েছে। তবে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদ আরোপ কিংবা সুদ পরিশোধের মতো বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ের অনুমোদন নেই। সে কারণে মুসলমান সঞ্চয়কারী এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সুযোগের অভাব ছিল বলে মনে করা হয়।
হালাল বিনিয়োগ কী
হালাল শব্দটি আরবি, যার অর্থ ‘অনুমোদিত’। এক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে-
১. লেনদেনে ‘রিবা’ বা সুদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারবে না, ২. হারাম (বেআইনি) সম্পদ কিংবা শূকর পণ্য, অ্যালকোহল বা সামরিক ....বিস্তারিত

এপ্রিলজুড়ে তীব্র তাপদাহের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবে দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ঘরে-বাইরে প্রায় একই পরিস্থিতি। তাপপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। ফলে নাগরিকরা এখন অতিষ্ঠ। বিশেষ করে যারা ঘরে-বাইরে (অফিস-আদালত) কাজ করেন, তারা তীব্র গরমে রয়েছেন ভোগান্তিতে। মাঠে-ঘাটে শ্রমজীবী মানুষ গরমের মধ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। ১৬ এপ্রিল ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ কমবে না। আরও এক সপ্তাহ একই পরিস্থিতি বিরাজ করবে।
গত কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে, বৈশাখ মাসের এ সময়টিতে তাপমাত্রা এরকম থাকে এবং এবারও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি। এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগও বাড়ছে। সাধারণত দেখা যায়, গরম বাড়লে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এমন অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর যে পূর্বাভাস দিচ্ছে, সেটি গরম নিয়ে দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, আগামী ২০ এপ্রিলের পর গরমের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি জানান, ২০ এপ্রিলের পর বিভিন্ন জায়গায় গরমের ব্যাপ্তি আরো বাড়বে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
ইতোমধ্যে দেশের কিছু জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ....বিস্তারিত

ঈদের পরই মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ অর্ধকোটি ডলার মুক্তিপণ গেল

রয়টার্স : সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছাড়িয়ে আনতে জলদস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে। দুজন জলদস্যু এ তথ্য জানিয়েছেন।
জলদস্যুদের একজন আবদিরশিদ ইউসুফ বলেছেন, ‘দুই রাত আগেই আমাদের কাছে ডলার আনা হয়...। আমরা যাচাই করে দেখেছি, ডলারগুলো আসল না জাল। তারপর আমরা ডলারগুলো কয়েকটি দলের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে জাহাজ ত্যাগ করি।’  
সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান আবদিরশিদ ইউসুফ।
 এ বিষয়ে জানতে সোমালিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সাড়া দেননি।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করে দস্যুরা। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়েছিল। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপর শুরু হয় দরকষাকষি। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে ছেড়েছে জলদস্যুরা। মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। ২১ এপ্রিল জাহাজটি হামরিয়া পৌঁছাবে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে সোমালিয়ার রাজধানী থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা তাদের দেশের দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকায় বিশৃঙ্খলা ....বিস্তারিত

ভারতের পড়শিরা বিক্ষুব্ধ কেন?

॥ প্রণয় শর্মা  ॥
গত বছর পর্যন্ত মলদ্বীপ বলতে ভারতীয়রা বুঝত পর্যটনের এক স্বর্গরাজ্যকে। ভারত মহাসাগরের বুকে শত সহস্র সবুজ দ্বীপপুঞ্জ ছিল প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর সেরা জায়গা। পরিস্থিতি ঘুরে গেল যখন ভারতবিরোধিতার হাওয়া তুলে জিতে এলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলতেন। মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিন সদস্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য করায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ভারতে। ভারতের চিত্রতারকা থেকে সাধারণ পর্যটক সকলেই মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন। মলদ্বীপের পর্যটনে ভাটার টান ধরিয়ে হয়তো তারা মলদ্বীপকে ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এর পরপর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে যেসব ঘটনা ঘটে গেল, তাতে তাদেরও তাক লেগে গেল।
ফেব্রুয়ারিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহল প্রচণ্ড জোট ভেঙে দিলেন নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে। ভারত-বন্ধু বলে পরিচিত নেপালি কংগ্রেসের পরিবর্তে প্রচণ্ড নতুন জোটসঙ্গী করলেন কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালকে। ওলি চীনের কট্টর সমর্থক বলে সুপরিচিত। নেপালে এ পটপরিবর্তনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই বাংলাদেশে সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলল ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক।
এই প্রচারের পেছনে সে দেশের প্রধান বিরোধী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। ভারতেরও বিষয়টা নজরে এলো। বাস্তবে এ বয়কটের ডাক কতটা ....বিস্তারিত

ভোজ্যতেলের দাম

বিশ্ববাজারে কমেছে ৫৫%, দেশে বেড়েছে ১০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিশ্বব্যাংকের নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের গড় মূল্য নেমে এসেছে প্রতি টন ৯১২ ডলারে। ২০২২ সালে এ দাম ছিল ১ হাজার ৬৬৭ ডলার। সেই হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়াও কমেছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলেও সয়াবিন তেলের দাম অনেক কমার কথা। কিন্তু দেশের বাজারে উল্টোচিত্র। এ সময়ে পণ্যটির দাম নামমাত্র কমানো হলেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি। ভোক্তাদের বাড়তি দামেই ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম অর্ধেকের বেশি কমেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়াও কমেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতে তেল পরিবহন খরচ কমেছে। সয়াবিন আমদানির খরচও কমেছে। ফলে তেলের দাম অনেক কমার কথা। কিন্তু দেশের বাজারে সেভাবে কমেনি। আর নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে সরকার কিছুই করতে পারছে না। এছাড়া পণ্যের দাম নির্ধারণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের অ্যানালাইসিসে সমস্যা দেখছেন বিশ্লেষকরা।



....বিস্তারিত

নতুন নির্বাচন আদায় ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সক্রিয় থাকবে বিরোধীরা

স্টাফ রিপোর্টার : রোজা ও ঈদ উৎসব শেষ। এখন দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হবে রাজপথে থাকা বিরোধীদলগুলো। রোজায় ইফতার মাহফিল ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর সেবায় ব্যস্ত ছিল বিরোধীদলগুলো। ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণে সময় কাটায় দলগুলো। জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর এখন আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হবে দলগুলো। দলীয় সূত্রগুলো থেকে এমন আভাসই পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। ধাপে ধাপে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় তারা। ফলে দেশের এখন উপজেলা নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতি চলমান রয়েছে। তবে যেহেতু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মতোই বর্জন করেছে, ফলে এ নিয়ে বিরোধীদল বা সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলগুলো এখন একটি নতুন নির্বাচন আদায়ে মাঠে আগের চাইতে বেশি সক্রিয় হবে। দীর্ঘ বিরতির পর এখন আর ঘরে বসে থাকতে চান না বিরোধীদলের কর্মীরা। তারা মাঠের কর্মসূচি চান। কিন্তু দলগুলো এখনই বড় কর্মসূচি পালনে যেতে চাচ্ছে না। কারণ এখনো বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মী জেলে রয়েছেন। সবাইকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর দলে প্রাণ ফিরবে বলে মনে করেন নীতিনির্ধারকরা। কর্মসূচি সফল করতে হলে মাঠে লোক দরকার। সে কারণে বিরোধীদলগুলো মাঠে শক্ত অবস্থান তৈরি করার জন্য সময় নিচ্ছে। তারা চায় সামনের দিকে কর্মসূচি দেওয়া হলে এর ইতিবাচক ফল ....বিস্তারিত

ওমরাহ ভিসার মেয়াদ কমালো সৌদি আরব

ওমরাহ ভিসার মেয়াদ কমিয়েছে সৌদি সরকার। আগে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদি প্রবেশের পর থেকে। কিন্তু এখন ভিসা ইস্যুর দিন থেকেই মেয়াদ গণনা শুরু হবে। অর্থাৎ কেউ ওমরাহর ভিসা ইস্যু করলে ইস্যুর দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন সৌদিতে থাকা যাবে। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ১৫ জিলকদ উত্তীর্ণ হবে। এর আগে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ থাকতো ২৯ জিলকদ পর্যন্ত। মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ওমরাহ ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে তিন মাস মেয়াদ থাকবে এবং তা ১৫ জিলকদের মধ্যেই শেষ হতে হবে। পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় হজ যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতেই সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গালফ নিউজ।











....বিস্তারিত

সাবধান! মোবাইল প্যাকেজের নামে পকেট চুরি

স্টাফ রিপোর্টার : আপনি-আমি সবাই এখন মোবাইল ফোন তথা সেল ফোনের কাছে আটকে গেছি। ইচ্ছে করলেই বের হয়ে আসতে পারবেন না। আমরা অক্টোপাসের জালে জড়িয়ে পড়েছি। এ সুযোগটা নিচ্ছে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো। তন্মধ্যে গ্রামীণফোন অনেকটা এগিয়ে। কারণ সেল ফোন সেক্টরে একচেটিয়া দখলে গ্রামীণফোনের। গ্রাহকদের বিকল্প না থাকায় গ্রামীণ ফোনের কাছে অনেকটা অসহায়ের মতো বন্দী। তারা এমনভাবে আপনার কাছ থেকে টাকা কেটে নেবে, তা গ্রাহক বুঝতেও পারবে না। আপনি মনে করলেন ফোন করার জন্য কিছু টাকা রিচার্জ করবেন। আর রিচার্জ যেকোনো পরিমাণই হতে পারে। তা ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০, ২৫, ৪৮, ৭২, ১০০, ১৯৮, ৫০১, ১০০৫ যা ইচ্ছা রিচার্জ করতে পারেন। আপনার প্রয়োজনে বিকাশ থেকে আপনি ১৯৮ টাকা রিচার্জ করলেন, যা আপনার নাম্বারে থাকবে। কিন্তু না আপনি ১৯৮ টাকা রিচার্জ করার সাথে সাথে গ্রামীণ ফোন আপনাকে সাত দিনের জন্য ১৫ জিবির একটি প্যাকেজ ধরিয়ে দিয়ে ১৯৮ টাকা নিয়ে যাবে। অথচ আপনি ১৯৮ টাকা রিচার্জ করেছিলেন সাধারণ কল করার জন্য। কিন্তু একটি প্যাকেজে পুরো টাকা কেটে নেয়ার পর আপনি ফোন করার জন্য আর কোনো টাকা পাবেন না। আপনি জেনারেল কল করার জন্য টাকা রিচার্জ করে কল করতে পারছেন না।  এভাবে শত শত গ্রামীণ গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছেন এবং তাদের টাকা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অতি সম্প্রতি এক সিনিয়র সাংবাদিক এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন গ্রামীণফোনের কাছে। তিনি তার বিকাশ একাউন্ট থেকে ১৯৮ টাকা রিচার্জ করেছিলেন জেনারেল ইউজের জন্য তথা সাধারণ কল করার জন্য। কিন্তু ....বিস্তারিত

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।